কৃষকদের গ্রেপ্তারে স্টেডিয়ামকে জেল বানাতে চায় মোদি সরকার

মিলান বার্তা ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:২৮:৪৬,অপরাহ্ন ০৩ ডিসেম্বর ২০২০ | সংবাদটি ২৩৯ বার পঠিতনয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী কৃষকদের গণহারে গ্রেপ্তার করতে চেয়েছিল দিল্লির পুলিশ। এ জন্য স্থানীয় স্টেডিয়ামগুলোকে অস্থায়ী জেলে রূপ দেওয়া নির্দেশ ছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের। কিন্তু দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কারণে ভেস্তে যায় সেই পরিকল্পনা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতি ছাড়া অস্থায়ী জেল করা সম্ভব নয় বলে, তার কাছে প্রস্তাব অনুমোদনের আরজিও জানানো হয়েছিল। কেজরিওয়াল তা প্রত্যাখ্যান করায় আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটতে হয় কেন্দ্রকে।
বুধবার এই প্রসঙ্গ তুলে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে স্টেডিয়ামগুলোকে জেল হিসেবে ব্যবহারের সম্মতি তিনি দেননি। যে কারণে কেন্দ্র তার ওপর চটেছে।
এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং-এর বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন আম আদমি পার্টির নেতা। কেজরিওয়াল বলেন, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী এখন ‘বিজেপির ভাষা’য় কথা বলেছেন। দিল্লিতে কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইন পাসের জন্য তাকে দোষারোপ করা হচ্ছে।
দিল্লিতে কভিড-১৯ বিধি বলবৎ আছে— এমন প্রচার চালিয়ে বিক্ষোভরত কৃষকদের বারবার আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিতে চাপ দেয় কেন্দ্র। গ্রেপ্তারের হুমকিও দেওয়া হয়। কিন্তু কয়েক লাখ কৃষককে মহামারি আইন ভঙ্গের দায়ে গ্রেপ্তার করে, জেলে ঢোকানোর মতো কাঠামো কেন্দ্রের নেই। তাই দিল্লি শহরের স্টেডিয়ামগুলোকে অস্থায়ী জেল হিসেবে কাজ লাগানোর পরিকল্পনা করে। কিন্তু স্থানীয় সরকারের সবুজ সংকেত ছাড়া কেন্দ্রের একার পক্ষে এই পরিকল্পনা রূপায়ণ সম্ভব নয়।
কৃষক বিক্ষোভকে বিনাশের পরিকল্পনা হিসেবে গত সপ্তাহেই কেজরিওয়ালের কাছে সম্মতি চায় কেন্দ্র। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানে বিজেপির বাড়া ভাতে ছাই ফেলে দিলেন তিনি।
কৃষকদের লাগাতার এই বিক্ষোভ কেন্দ্রের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় কৃষি আইন নিয়ে ঘরে-বাইরে চাপ বাড়ছে বিজেপি’র। পাঞ্জাব-হরিয়ানার কৃষকদের এই আন্দোলন আন্তর্জাতিক নেতাদের নজরও কেড়ে নিয়েছে।
এ দিকে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমারের সঙ্গে কৃষক নেতাদের বৈঠক সুরাহা মেলেনি। আজ আবারও বৈঠক রয়েছে। তবে কৃষক নেতারা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবেই।