ভ্যাকসিন আনার-রাখার প্রস্তুতি শেষ বাংলাদেশের

মিলান বার্তা ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:০৯:৫৫,অপরাহ্ন ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ | সংবাদটি ২৬৮ বার পঠিতআগামী জানুয়ারির ‘যেকোনো সময়’ যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা বাংলাদেশ গ্রহণ করবে। সেই টিকা আনার এবং রাখার যে প্রস্তুতি সেটি ইতিমধ্যে বাংলাদেশ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রবিবার করোনার টিকার ক্রয়চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। ভ্যাকসিন এখানে আনার জন্য যে প্রস্তুতি সেটা গ্রহণ করা হয়েছে। রাখার যে প্রস্তুতি (স্টোরেজ) সেটার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
টিকাদান কর্মসূচিতে যতগুলো বিষয় গুরুত্বপূর্ণ তার মধ্যে এই দুটি প্রক্রিয়াকে খুব গুরুত্ব দেয়া হয়। এ জন্য প্রয়োজন দক্ষ জনবল।
সরকারের পক্ষ থেকে কয়েক দিন ধরে বলা হচ্ছে, জানুয়ারিতেই টিকা আসবে। সেই ঠিকা আনার এবং রাখার প্রস্তুতির বিষয়ে এই প্রথম জানা গেল।
টিকা আসার পর স্টোরেজ থেকে মানুষকে দিতে হলে অনেক সরঞ্জামের প্রয়োজন। সেটি এখনো পুরোপুরি শেষ করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন ‘ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য অন্যান্য যে সরঞ্জাম লাগবে, সে বিষয়েও আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। আশা করি ভ্যাকসিন আসতে আসতে এই প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।’
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) ৩ কোটি ডোজ টিকা কেনার ক্রয়চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির অধীনে জানুয়ারি থেকে শুরু করে পরবর্তী ছয় মাসে ৫০ লাখ করে মোট ৩ কোটি ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ।
মন্ত্রী বলেন, ‘অক্সফোর্ডের ৩ কোটি ডোজ টিকার পারসেজ ডকুমেন্টে (ক্রয়সংক্রান্ত কাগজপত্র) সই করেছি। এটা সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তারা ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এটি পেয়ে যাবে।’
‘এর আগে অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন লাগবে। দেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদনের বিষয়ও আছে। আশা করছি, শিগগিরই অনুমোদন পাওয়া যাবে।’
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা ও অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ৫ নভেম্বর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করোনাভাইরাসের ৩ কোটি ডোজ টিকা কিনতে সমঝোতা চুক্তি করে সরকার। প্রত্যেক ব্যক্তির দুই ডোজ করে টিকা নিতে হবে। অর্থাৎ ৩ কোটি ডোজ টিকা বাংলাদেশের দেড় কোটি মানুষকে দেওয়া যাবে।