ওয়ান টাইম প্লাস্টিক বন্ধে কাজ করছে সরকার: পরিবেশ মন্ত্রী

মিলান বার্তা ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৪২:১৫,অপরাহ্ন ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ | সংবাদটি ২২৯ বার পঠিতমানবদেহে ও পরিবেশের ওপর একবার ব্যবহার্য (ওয়ান টাইম) প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব বিবেচনা করে সরকার এর ব্যবহার বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক মুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।
রবিবার এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো) আয়োজিত ‘হাই লেভেল পলিসি ডায়লগ অন স্টপিং টক্সিক প্লাস্টিক ওয়েস্ট ট্রেড এন্ড ইটস ট্রান্সবাউন্ডারী মুভমেন্ট’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে নিজ সরকারি বাসভবন হতে যুক্ত হয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, ফেলে দেয়া প্লাস্টিক পণ্য মাটি ও পানিতে বছরের পর বছর থেকে পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আবার, খাদ্যচক্রের সাথে মিশে গুরুতরভাবে মানবস্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষায় বর্তমান সরকার ২০১০ সালে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করার জন্য জুট প্যাকেজিং আইন পাস করে। সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার রোধ করতে একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের হাইকোর্ট এই বছরের জানুয়ারি মাসে আগামী এক বছরের মধ্যে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ১৪০০ ডেলিগেটস ২০১৯ সালের ১০ মে প্লাস্টিক বর্জকে বাসেল কনভেনশনে অন্তর্ভুক্ত করতে এবং এসব বর্জ্যকে একটি আইনি কাঠামোতে আনতে ঐক্যমত প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে প্লাস্টিক বর্জ্যের ট্রান্স-বাউন্ডারি মুভমেন্ট নিয়ন্ত্রণে একটি আইনি কাঠামো তৈরি করেছে। তাছাড়া, আমদানি নীতি ২০১৫-২০১৮, অনুযায়ী বাংলাদেশে যেকোন প্রকার বর্জ্য আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পলিথিনের বিকল্প পাটের ব্যাগ উদ্ভাবনেও সরকার কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সকলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে খাবার ও ব্যক্তিগত পণ্যের মোড়ক, পানির বোতল, শ্যাম্পুর বোতল ও মিনি-প্যাক, কন্ডিশনার প্যাকেট, টুথপেস্ট টিউব, প্লাস্টিক টুথব্রাশ, টি ব্যাগ এবং বিভিন্ন খাবারের প্যাকেট, প্লাস্টিকের চামচ, স্ট্র, প্লেট, কাপ, গ্লাসসহ সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে শিল্পপতি, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
এসডোর সহসভাপতি প্রফেসর ড. আইনুন নিশাতের সভাপতিত্বে সেমিনারে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো, জাইকার প্রতিনিধি কোজি মিতোমোরি, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ,কে,এম রফিক আহমদ, এসডোর সভাপতি ও সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ সহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন।