প্রাথমিকের ১৫০০ শিক্ষকের বেতন বন্ধ হচ্ছে

মিলান বার্তা ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৪৯:০১,অপরাহ্ন ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ | সংবাদটি ২৩৫ বার পঠিত২০১৩ সালে সারা দেশে বিভিন্ন পর্যায়ে ২৬ হাজারের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় দেড় লাখ শিক্ষককে জাতীয়করণ করেছে সরকার। শিক্ষকদের জাতীয়করণ করার পর তিন বছর সময় দেয়া হলেও অনেকে যোগ্যতা (একাডেমিক) অর্জনে ব্যর্থ হয়েছেন। রেজিস্টার্ড, নন-রেজিস্টার্ড কমিউনিটি স্কুলের সেইসব অযোগ্য শিক্ষকের বিরুদ্ধে এবার ব্যবস্থা নিতে চলেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। খবর বাংলাদেশ জার্নাল-এর।
মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, একাডেমিক যোগ্যতা অর্জন না করায় প্রাথমিকের প্রায় দেড় হাজার শিক্ষকের বেতন বন্ধ হতে চলেছে।
অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে আগের বিধিমালা অনুযায়ী জাতীয়করণ হওয়া নারী শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এইচএসসি পাস ও সিইনএড (সার্টিফিকেট ইন এডুকেশন) কোর্স এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে ডিগ্রি বা সমমান পাস ও সিইনএড কোর্স করতে বলা হয়। যোগ্যতা অর্জনে তাদের জাতীয়করণের পর সময় বেঁধে দেয়া হয় তিন বছর। তবে সময় পেরিয়ে গেলেও বিভিন্ন বিদ্যালয়ের দেড় হাজার শিক্ষক যোগ্যতার সে গণ্ডি উতরাতে পারেননি।
জানা যায়, যোগ্যতা অর্জন করতে না পারা এসব অধিকাংশ শিক্ষকের বয়স ৫০- ৬০ বছরের মধ্যে। এরমধ্যে অনেকেই আবার চাকরি জীবন শেষ করে অবসরে চলে গেছেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দিন বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে তাদেরকে ডিগ্রী অর্জন করতে হবে। সেটা না হলে অর্থ মন্ত্রণালয় মানতে চাইবে না। এর ফলে বেতন বন্ধ হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
তিনি আরো বলেন, অনেক শিক্ষকের বয়স ৫০-৫৫ বছর হয়েছে। কেউ আবার অবসরে গেছেন। এখন যদি এসব শিক্ষকের বলা হয় তাদেরকে আবার ডিগ্রী পাস করতে হবে এটা কতটা সম্ভব কর্তৃপক্ষকে সেটিও বিবেচনা করতে হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মর্যাদার একজন গণমাধ্যমকে বলেন, এসব শিক্ষকদের তিনবার আইন করে সুযোগ দেয়া হয়েছে; এরপরও তারা যোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হননি।
তিনি আরো বলেন, শুধু বেতন বন্ধ হতে যাচ্ছে না। এখনো অনেক শিক্ষকের বেতন ও অবসরকালীন ভাতাও আটকা আছে।
তবে কি এসব শিক্ষক বেতন পাবেন না এমন প্রশ্নে তিনি আরো বলেন, আপাতত পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এম মনসুর আলম বলেন, জাতীয়করণ হওয়া যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাডেমিক ও প্রশিক্ষণের সনদ নেই, তাদের তালিকা করা হয়েছে। যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ায় এসব শিক্ষকের বিরুদ্ধে চাকরিবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে। মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়া হলে ডিপিই তা বাস্তবায়ন করবে বলেও জানান তিনি।