অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা: বিমান সচিব

মিলান বার্তা ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:২৫:৫৪,অপরাহ্ন ২২ ডিসেম্বর ২০২০ | সংবাদটি ১৯৭ বার পঠিতমহামারি করোনার নতুন ধরন ছড়াতে থাকায় যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ। তবে বাংলাদেশ এখনও তেমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মহিবুল হক।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টির ওপর নজর রাখছি। এখনও তেমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
গত সেপ্টেম্বরে করোনাভাইরাসের ওই নতুন ধরনটির সন্ধান মেলে যুক্তরাজ্যে। যা এখন লন্ডনসহ ইংল্যান্ডের বেশ কিছু এলাকায় খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও নেদারল্যান্ডসেও পোঁছে গেছে ভাইরাসটির ভ্যারিয়েন্ট।
এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় প্রতিবেশীসহ ৪০টিরও বেশি দেশ যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের ভ্রমণ বাতিল করেছে। বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এমনকি আরো কয়েকটি দেশ একই পদক্ষেপ নেয়ার কথা বিবেচনা করছে।
এ বিষয়ে সচিব মহিবুল হকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাংবাদিকরা। উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। পর্যালোচনা করছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা আমাদের সিদ্ধান্তটা জানিয়ে দেব।’
এদিকে করোনার দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণের মধ্যে সৌদি আরব সব ধরনের বিমান চলাচল বন্ধ করেছে। এ অবস্থায় সে দেশে গমনেচ্ছু বাংলাদেশিদের কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে বিমান সচিব বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে আমরা (ফ্লাইট) বন্ধ করিনি, তারা তাদেরটা বন্ধ করেছে। ফলে আমাদের বিমান যেতে পারছে না।’
‘সৌদি সরকারের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। পুনরায় বিমান চলাচল শুরু হলে যারা টিকিট কেটে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন তারা অগ্রাধিকার পাবেন। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।’ বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ এখনও কোনো দেশের সঙ্গে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করেনি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কয়েকটি দেশ আমাদের এক্সেস দিচ্ছে না, এ কারণে আমাদের বিমান যেতে পারছে না।’
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘করোনার কারণে এ পর্যন্ত বিমান পরিচালনায় বাংলাদেশের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি আর পর্যটন খাতে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা।’
সোমবার পর্যন্ত বাংলাদেশে ২৯টি এয়ারলাইন্স ফ্লাইট পরিচালনা করছিল জানিয়ে বিমান সচিব বলেন, ‘এর মধ্যে যাত্রীবাহী ফ্লাইটের সংখ্যা ছিলো ১৯৮টি, আর কার্গোবাহী ফ্লাইট ছিল ৭৪টি।’
অন্যদিকে ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক জানিয়েছেন, ইংল্যান্ডের দক্ষিণে এই নতুন প্রজাতির ভাইরাসের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই নতুন প্রজাতি থেকে ফের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এবং তার গতি আগের থেকেও বেশি।
আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাসের এই নতুন প্রজাতিটি আগের চেয়ে ৭০ শতাংশ দ্রুততর গতিতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।