মৌলভীবাজারের জঙ্গলে তরুণের ঝুলন্ত লাশ

মিলান বার্তা ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৩২:০৪,অপরাহ্ন ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ | সংবাদটি ২৯৬ বার পঠিতমৌলভীবাজারের কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নের ভারত সীমান্তবর্তী এওলাছড়া পানপুঞ্জির গহীন জঙ্গল থেকে শনিবার দুপুরে শিপন মালাকার (১৭) নামের এক তরুণের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় এক কিশোরীকে (১৩) লাশের পাশে কান্নারত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
রাতেই সীমান্তবর্তী এলাকায় নো ম্যান্সল্যান্ডে পরনের গেঞ্জি দিয়ে গাছের ডালে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন শিপন এবং সেই লাশের পাশে পাহারারত অবস্থায় প্রেমিকাকে পাওয়া যায়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
মৃত শিপন স্থানীয় পৃথিমপাশা ইউনিয়নের গণকিয়া গ্রামের সিন্ধু মালাকারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সিন্দু মালাকারের ছেলে সিএনজি চালক শিপন মালাকার সঙ্গে দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কিশোরীর। বিষয়টি উভয় পরিবার মেনে না নেওয়ায় ২৫ ডিসেম্বর পালানোর সিদ্ধান্ত নেন তারা।
শুক্রবার বিকেলে শিপন প্রেমিকাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর সন্ধ্যার দিকে তারা দুজনে ভারতে পালানোর উদ্দেশ্যে সীমান্তবর্তী এওলাছড়া পুঞ্জির গহীনে চলে যায়। সেখানে তারা অনেক সময় অবস্থান করেন।
ঘটনাস্থলে লাশ পাহারারত কিশোরী বলেন, শুক্রবার বিকেলে শিপন আমাকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। এরপর রাতে এওলাছড়া পানপুঞ্জির গহীন জঙ্গলে অবস্থান করি। একপর্যায়ে রাত প্রায় ২টায় শিপনের কাছ থেকে পাহাড়ের নিচে আমি ছিটকে পড়ে যাই। তখন থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা আমি অজ্ঞান ছিলাম। ভোরে শিপনকে অনেক খোঁজাখুঁজি করি। সকালে তার পরনের গেঞ্জি দিয়ে গাছের ডালে ফাঁস লাগিয়ে অবস্থায় দেখতে পাই। এ সময় ঘটনাস্থলে নিজে লাশ পাহারা দেই।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পৃথিমপাশা ইউপি চেয়ারম্যান নবাব আলী বাকর খান, কর্মধা ইউপি চেয়ারম্যান এমএ রহমান আতিক, স্থানীয় ইউপি সদস্য সিলভেস্টার পাঠান, হাজী মাকসুদ আলী, আব্দুল মনাফ প্রমুখ।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছর বিনয় ভূষণ রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় লাশের পাশে পাহারারত অবস্থায় এক কিশোরীকে পাওয়া যায়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।
ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ৩ ঘণ্টা প্রেমিকাকে না পেয়ে অভিমানে বা হতাশায় হয়তো সে আত্মহত্যা করেছে। তবে তদন্তে নিশ্চিত হওয়া যাবে। মেয়েটিকে বর্তমানে মা-বাবার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।