কুকুরের কামড়ে ১ দিনেই হাসপাতালে ভর্তি ১৪ জন

মিলান বার্তা ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:২৭:৩২,অপরাহ্ন ০১ জানুয়ারি ২০২১ | সংবাদটি ২৩৬ বার পঠিতঢাকার ধামরাইয়ে পাগলা কুকুরের উপদ্রব আশংকাজনকহারে বেড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার একদিনেই পাগলা কুকুরের কামড়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন পৌরশহরের ১৪জন। কুকুরের উপদ্রবে গৃহবন্ধি হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। ঘর থেকে বের হলেই কোন না কোনভাবে পাগলা কুকুরের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন তারা। তাই কেউ একাকি ঘরের বাহির হচ্ছেন না। ঘরের বাইরে যেতে হলে যাচ্ছেন দলবদ্ধভাবে।
ভুক্তভোগিরা জানান, সরকারের প্রাণি সম্পদ বিভাগের নির্দেশনানুযায়ী কোন কুকুর মারা যাবেনা। এরফলে পৌরসভা থেকে কোন কুকুর নিধন অভিযান চালানো হয়না আগের মত। পূর্বে কুকরের উপদ্রব বেড়ে গেলে পৌরসভা থেকে কুকুর নিধন অভিযান চালানো হত। এখন সরকারের প্রাণি সম্পদ বিভাগের নির্দেশনানুযায়ী কুকুর নিধন অভিযান বন্ধ থাকায় আশংকাজনক হারে কুকুরের বংশস্তিার ঘটেছে। ফলে এদের স্বাভাবিক খাবারেরও চরম সংকট দেখা দিয়াছে।
এর ফলে মানুষের হাতে কোন খাদ্যদ্রব্য দেকলেই কুকুর দলবেধে তেড়ে আসে মানুষের কাছে। এসময় খাবার নিয়ে কুকুর ও মানুষের মধ্যে কাড়াকাড়ির ঘটনা ঘটে থাকে। আর এসময়ই কুকুর খাবার না পেয়ে মানুষের ওপর হামলা চালিয়ে খাবার কেড়ে নেয়। বিশেষ করে শিশুরা ঘরের বাইরে গেলেই ক্ষুধার্ত কুকুর ওই শিশুর হাতের শিশুখাদ্যদ্রব্য খাবলে কেড়ে নেয়। এতে অনেক শিশু ভয়ে জবুথুবু হয়ে যায়। আবার অনেকেই কুকরের কামড়ে হয়ে যায় রক্তাক্ত জখম।
বৃহস্পতিবার পৌরশহরের কুমড়াইল এলাকায় পাগলা কুকরের কামড়ে ভুট্টো মিয়া(৩২), শেফালী(২১), অনামিকা(১৪), ফালানি(১২), তাহরন নেসা(৪১), বউ বাজার এলাকায় কেনু মিয়া(২৭), বাবলি আক্তার(২৩),নন্দনাল, গোসাই(৩৮), রত্নাআক্তার(১৭), কবিতারাণী সরকার(২১), কায়েত পাড়া মহল্লায়, নন্দিতা(২৬), রেশমা((২৪) ও ইসলামপুর এলাকায় শহর কনিকা আক্তার(১৩) ও সাহেরা আক্তারসহ(০৯) ১৪ জনকে দিনের বিভিন্ন সময়ে পাগলা কুকুর কামড়িয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। তাদেরকে জরুরি ভিত্তিতে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এলাকাবাসী জানায়, প্রায় ১৫-২০ ধরনের এই পাগলা কুকরের উপদ্রব পরিলক্ষিত হচ্ছে। এতদিন পৌরসভা নির্বাচনের উত্তাপে পরিস্থিতি এতটা নাজুক ছিলনা। কারণ নির্বাচন চলাকালে মানুষজন দলবদ্ধভাবে ভোট প্রার্থনা করেছে। তখন কুকুর এতটা ক্ষেপেনি। ২৮ডিসেম্বর নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর থেকেই এ উপদ্রব যেন রাতারাতি পাল্টে অনুকুরের বাইরে চলে গেছে। এর একটা বিহিত করা না হলে কুকুরের ভয়ে ঘর থেকেই বের হওয়া যাবেনা। এ নিয়ে সাধারণ মানুষ রীতিমত ভরকে গেছে। কাজেই কুকুরের উপদ্রব বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই পৌরবাসীর সামনে।
এ ব্যাপারে ধামরাই পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আলহাজ্ব গোলাম কবির বলেন, যদি কুকুরের উপদ্রব এতটাই বেড়ে থাকে তাহলে সরকারের প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করেই এব্যাপারে একটি ব্যবস্থা নেয়া হবে।