মনোবিদদের এড়িয়ে চলেন মেসি

মিলান বার্তা ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৫৯:৪৭,অপরাহ্ন ০৪ জানুয়ারি ২০২১ | সংবাদটি ২৪৭ বার পঠিতফুটবলাররাও অন্য সবার মতো মানুষ। তারা অন্যদের আনন্দ দিলেও তাদের একটা ব্যক্তিগত জীবন আছে। অন্যদের মতো তাদেরও দুঃখ, হাসি ও বেদনার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তারাও মাঝে মাঝে হতাশায় পড়েন।
এই সমস্যা দূর করার জন্য মাঝে মাঝে তারা মনোবিদের শরণাপন্ন হন। এটা ফুটবলসহ সব খেলোয়াড়দের মধ্যেই একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। এ দিক দিয়ে আলাদা নন বার্সা ও আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি। তিনিও মাঝে মাঝে হতাশায় পড়েন। তবে নিজের দুঃখ, বেদনা ও হতাশা সব কিছুই নিজের মধ্যে রাখেন তিনি। কারো সঙ্গে এ ব্যাপারে কোনো কিছু বলেন না। এগুলো তিনি সব সময় চেপে রাখেন।
এমনকি হতাশায় থাকলেও তার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেন না। মানে তিনি কোনো মনোবিদের কাছে যান না। যদিও তিনি মনে করেন তার মাঝে মাঝে মনোবিদের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু তিনি কেন যান না তা তিনি নিজেও জানেন না। এ ব্যাপারে মেসি জর্দি ইভোলের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় কথা বলেন। এ ব্যাপারে মেসি বলেন, ‘আমার মনোবিদের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আমি কখনো যাইনি। কেন যাইনি এটি আমি নিজেও জানি না। কিন্তু আমি জানি আমার এটি প্রয়োজন আছে।’
মেসি আরো জানিয়েছেন তার স্ত্রী আন্তোনেলা রোকুজ্জো তাকে মাঝে মাঝে চাপ দেন যেন তিনি কোনো মনোবিদের শরণাপন্ন হন। কিন্তু এসব চাপেও তিনি তার সিদ্ধান্ত বদলান না। এ ব্যাপারে মেসি বলেন, ‘আন্তোনেলা আমাকে অনেক বার চাপ দিয়েছে যেন আমি মনোবিদের কাছে যাই। কিন্তু আমি এমন একজন মানুষ যে সব কিছু নিজের মধ্যেই রাখতে ভালোবাসি। কারো সঙ্গে কোনো কিছু শেয়ার করি না। আমি জানি মনোবিদের কাছে গেলে আমি উপকৃত হতাম। কিন্তু আমি যাই না।’
গত ১৫ মৌসুম ধরে বার্সার মনোবিদের দায়িত্ব পালন করছেন ইমা পুইগ। তার কাছেও এসব বিষয়ে কথা বলেননি মেসি। ইমা পুইগ স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম মার্কার সঙ্গে এক আলাপচারিতায় বলেছেন যে মানুষ মনে করে যে কোনো কিছুর অভাব থাকলে হয়তো কেউ হতাশায় পড়ে। কিন্তু ব্যাপারটি তা নয়। কিছু কিছু সময় সবকিছু থাকা সত্ত্বেও অনেকে হতাশার মধ্যে পড়ে যান। ফলে অন্যদের কাছে ব্যাপারগুলো শেয়ার করার প্রয়োজন। নয়তো পরবর্তীতে এই সমস্যা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। আর শেষ দিকে যদি কেউ তখন মনোবিদের শরণাপন্ন হনও তাহলে তখন আর খুব বেশি কিছু করার সুযোগ থাকে না। ফলে তার মতে ছোটখাটো সমস্যা ও অশান্তি সবই কারো না কারো সঙ্গে শেয়ার করা উচিত।