যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূতের যোগদান

মিলান বার্তা ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৪৮:২০,অপরাহ্ন ১৮ জানুয়ারি ২০২১ | সংবাদটি ২১৩ বার পঠিতযুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে মাত্র ৬ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগদান করেন। ওয়াশিংটন ডিসি’র একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার যোগদান উপলক্ষ্যে দূতাবাসে নিযুক্ত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এর আগে তিনি দূতাবাসে সংরক্ষিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে সাধারণ সভায় বক্তব্য দেন। রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম কর্মকর্তাদের সঙ্গে পৃথক সভা করেন এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন। এ ছাড়া রাষ্ট্রদূত কনস্যুলার সেবার অধিকতর উন্নয়নের উপর গুরুত্ব, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম বৃদ্ধির উপরও বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেন।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম নতুন দায়িত্ব গ্রহণের জন্য গত ৮ জানুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসিতে এসে পৌঁছান। ২০১৪ সালের জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্টদূত হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসা কূটনীতিক মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিনের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন শহীদুল ইসলাম। তিনি ১৬তম রাষ্ট্রদূত।
এর আগে এম শহীদুল ইসলাম ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ মিশনের উপ-প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০২০ সালের ২৭ আগষ্ট বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়াটিভ ফর মাল্টি- সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনোমিক কর্পোরেশন (বিআইএমএসটিইসি)’র মহাসচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসা পেশাদার এই কূটনীতিককে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দুই দফায় পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০১৯ সালের ১১ জুলাই রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিনের মেয়াদ তৃতীয় দফায় এক বছরের জন্য বাড়িয়েছিল সরকার। তার স্থলাভিষিক্ত হতে চলা শহীদুল ইসলাম বিমসটেকে দ্বিতীয় মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করে আসছেন ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে।
২০১২ সাল থেকে প্যারিস মিশনে থাকার সময় ইউনেস্কোতে স্থায়ী প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন মেয়াদে রোমানিয়া, আলজেরিয়া, আইভরি কোস্ট ও ক্যামেরুনে রাষ্ট্রদূত বা হাই কমিশনারের দায়িত্বও ছিল তার কাঁধে।
এ ছাড়া তিনি ১৯৯২ থেকে ১৯৯৪ সময়ে কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনে দ্বিতীয় ও প্রথম সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমেরিকাস, প্যাসিফিক ও কাউন্টার টেররিজম এবং ইউরোপ উইংয়ের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন দায়িত্বও সামলিয়েছেন এই কূটনীতিক।