মিটার স্থাপনের ৭ মাস পরও বিদ্যুৎ পায়নি ১৮ পরিবার
মিলান বার্তা ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৩৬:১৪,অপরাহ্ন ০৯ জুলাই ২০২১ | সংবাদটি ১৯৫ বার পঠিতবড়লেখা উপজেলার গজভাগ গ্রামের ১৮ জন গ্রাহকের ঘরে পল্লীবিদ্যুতের মিটার স্থাপনের ৭ মাস পরও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার লাইন (তার টানানোর কাজ) স্থাপনের বাধায় গ্রাহকরা আজও বিদ্যুৎ পায়নি। এতে সরকারের শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্তের পাশাপাশি ভুক্তভোগী গ্রাহকরা অন্ধকারে দুর্ভোগ পোয়াচ্ছেন।
জানা গেছে, উপজেলার গজভাগ গ্রামের পূর্বদিকের শেষ প্রান্তের ১৮ পরিবার প্রায় ২ বছর আগে বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন করেন। এরপরিপ্রেক্ষিতে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি প্রয়োজনীয় খুঁটি স্থাপন ও প্রায় ৭ মাস আগে গ্রাহকের বাড়িতে বৈদ্যুতির মিটার স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করে। খুঁটিতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের তার টানানোর পরই গ্রাহকদের সংযোগ দেওয়ার মুহুর্তে স্বার্থান্বেষী একটি মহল বিদ্যুৎ লাইন টানাতে বাধা দেয়।
সরেজমিনে গেলে ভুক্তভোগী বিদ্যুৎ গ্রাহক রমজান আলী, মিরাজ আলী, সিরাজ মিয়া, পিয়ারা বেগম প্রমূখ অভিযোগ করেন ৭ মাস আগে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি তাদের বাড়িতে মিটার স্থাপন করেছে। পল্লীবিদ্যুতের লোকজন মেইন লাইন টানতে আসলে স্থানীয় বাসিন্দা চন্দ্র মোহন সিংহ, হরেন্দ্র সিংহ, রামু কেসব সিংহ প্রমুখ তার টানতে বাধা দেন। এজন্য আজও তারা বিদ্যুৎসংযোগ পাচ্ছেন না। এতে ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করতে পারছে না, অন্ধকারে তারা দুর্ভোগ পোয়াচ্ছেন।
এ ব্যাপারে চন্দ্র মোহন সিংহ, হরেন্দ্র সিংহ প্রমুখ জানান, ক্ষতি হবে না এমন জায়গা থাকা সত্বেও আমাদের কৃষিজমি ও গ্রামের ওপর দিয়ে বিদ্যুৎলাইন টানানো হচ্ছে। তাদের মারাত্মক ক্ষতির আশংকায় তারা লাইন টানতে বাধা দিচ্ছেন।
বড়লেখা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এমাজুদ্দিন সরদার জানান, মিটার স্থাপনের পর সংযোগ প্রদানের মুহুর্তে অভিযোগের কারণে তা আটকা পড়ে। তিনি সরেজমিনে পরিদর্শন করে এসব গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।