রেলওয়ের কংক্রিট স্লিপার কারখানায় আজ থেকে আবারো উৎপাদন শুরু
মিলান বার্তা ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:২৩:৫০,অপরাহ্ন ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ | সংবাদটি ২৯২ বার পঠিতছাতকে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ রেলওয়ের একমাত্র কংক্রিট স্লিপার কারখানাটি ৪মাস ধরে বন্ধ থাকার পর আজ মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) থেকে কারখানায় আবারো উৎপাদন শুরু হচ্ছে। কংক্রিট স্লিপার উৎপাদনে এটিই হচ্ছে দেশের একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান। পর্যাপ্ত কাঁচামাল প্রাপ্তির সুযোগ সুবিধা থাকার পরও রহস্যজনক কারণে বার-বার বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন দেশের একমাত্র কংক্রিট স্লিপার কারখানাটিকে হোঁচট খেতে হয়েছে। এজন্য স্থানীয় লোকজন রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন। আজ মঙ্গলবার থেকে এ কারখানায় স্লিপার উৎপাদন আবারো শুরু হবে। এজন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ছাতক রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান।
দুর্নীতি, অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনার কারণে প্রতিষ্ঠার ৩৩ বছরে বার-বার বন্ধ হয়েছে এ কারখানাটি। সর্বশেষ উৎপাদন বন্ধ হয়েছে ২০২১ সালের ০৩ মে। কারখানাটি বন্ধ থাকায় কারখানার অনেক কর্মচারী বেকার সময় কাটাচ্ছেন এবং কারখানা সংশ্লিষ্ট শতাধিক শ্রমিকও বেকার হয়ে পড়েছেন। কংক্রিট স্লিপার তৈরীর অন্যতম উপাদান হচ্ছে সিমেন্ট, পাথর ও বালু। ছাতকে দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ব সিমেন্ট কারখানা রয়েছে। এছাড়া উন্নতমানের পাথর ও বালুর জন্য এ অঞ্চলের রয়েছে ব্যাপক সুনাম। সব কাঁচামাল এখানে পাওয়া গেলেও কংক্রিট স্লিপার তৈরীতে হাইটেনশন স্টিল রড ও এমসিআই স্টিল পাত ভারত থেকে আমদানী করতে হয়। এসব বিষয় মাথায় রেখেই সরকার ভারতীয় প্রযুক্তিতে ১৯৮৮সালে মিটারগেজ রেল লাইনে স্লিপার ব্যবহারের জন্য ছাতকে কংক্রিট স্লিপার কারখানা প্রতিষ্ঠা করে। কারখানায় উৎপাদন সচল থাকলে প্রতি মাসে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার স্লিপার তৈরী করা হয়ে থাকে। আর উৎপাদিত স্লিপার সারা দেশের মিটারগেজ রেললাইনে সরবরাহ করা হয়। এ কারখানায় ব্রডগেজ কংক্রিট স্লিপার তৈরী সম্ভব বলে বিভিন্ন সময় রেলওয়ের প্রকৌশলীরা মতামত দিয়েছেন। তবে এ কারখানাটিকে আধুনিকায়ন করতে হবে।
ছাতক বাজার রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী (অঃদাঃ) আবুল কালাম আজাদ জানান, র্যাপিড সিমেন্টের অভাবে এ কারখানাটি বন্ধ ছিলো। কারখানাটি চালু করার স্বার্থে বর্তমানে কারখানায় অবস্থান করছেন সাবেক উর্ধতন উপসহকারী প্রকৌশলী (বিআর-কার্য অঃদাঃ) আব্দুল নূর। তিনি জানান, এখানে কোনো কর্মকর্তাকে এখনো পদায়ন করা হয়নি। কুলাউড়ার উর্ধতন উপসহকারী প্রকৌশলী (কার্য) জুয়েল হোসাইনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হলে তিনি দায়িত্ব নিচ্ছেন না। কাজেই কর্তৃপক্ষের মৌখিক নির্দেশে কারখানার মালামাল বুঝিয়ে দিয়ে উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য এখানে তিনি অবস্থান করছেন।