‘টিকা বৈষম্য’ দূরীকরণসহ ৬ বিষয় গুরুত্ব পাবে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে
মিলান বার্তা ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:২৮:০৭,অপরাহ্ন ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ | সংবাদটি ২৭৮ বার পঠিতজাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে বিশ্বব্যাপী ‘টিকা বৈষম্য’ দূরীকরণসহ ৬টি বিষয় গুরুত্ব পাবে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া অধিবেশনে ২১ সেপ্টেম্বর হতে ৮ সেপ্টেম্বর চলবে সাধারণ বিতর্ক। এ অধিবেশনে যোগদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল আগামী রবিবার নিউ ইয়র্কে পৌঁছাবেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে সঙ্গে আসছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস এ খবর জানিয়েছে।
কোভিড এর প্রেক্ষাপটে এ বছর সাধারণ বিতর্কের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে- কোভিড-১৯ থেকে পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশার মাধ্যমে স্থিতিস্থাপকতা গড়ে তোলা, টেকসইভাবে পুনর্গঠন করা, গ্রহের চাহিদার প্রতি সাড়া দেওয়া, মানুষের অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা এবং জাতিসংঘকে পুনরুজ্জীবিত করা এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাধারণ পরিষদের এবারের অধিবেশনে বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের সভাগুলো আয়োজন করা হয়েছে।
প্রথমত: এবারের অধিবেশনের একটি বড় অংশ জুড়ে থাকবে কোভিড-১৯ মোকাবিলা এবং পরবর্তী টেকসই পুনরুদ্ধার ও পুনঃনির্মাণ। কোভিড-১৯ হতে মুক্তিলাভের জন্য, দ্বিতীয়: জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রতিক্রিয়া এবং পুনরুদ্ধার কোভিড পরবর্তী টেকসই পুনরুদ্ধারের অন্যতম শর্ত তাই আসন্ন সাধারণ অধিবেশনে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়টিও প্রাধান্য পাবে। কপ-২৬ থেকে বিশ্ব যাতে একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা পেতে পারে সে বিষয়েও এবারের সাধারণের পরিষদের অধিবেশনে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ আলোচনা করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘ মহাসচিব ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর যৌথ উদ্যোগে জলবায়ু বিষয়ে ভূমিকা পালনকারী দেশগুলোকে নিয়ে একটি সভা আয়োজন করছে।
তৃতীয়ত: কোভিড-১৯ এর কারণে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ঠ অর্জনে যে অগ্রযাত্রা-তা অনেকাংশেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠে সম্মিলিতভাবে টেকসই বিনির্মাণের বিষয়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ আলোচনা করবেন। এসডিজি এর প্রতিটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে ভিত্তি করে কোভিড পরবর্তী পুনরুদ্ধারের বিষয়টি তাই এ অধিবেশনে প্রাধান্য পাবে।
চতুর্থত: এবারের সাধারণ অধিবেশনে ইউএন ফুড সিস্টেমস সামিট শীর্ষক একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই সভার মূল লক্ষ্য হল টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ঠের অন্তর্ভুক্ত-ক্ষুধা, জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য এবং বৈষম্যের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলোর সঙ্গে বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থার আন্তঃসম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে, উক্ত উন্নয়ন অভীষ্ঠসমূহ অর্জন তরান্বিত করা।
পঞ্চমত: কোভিড এর সময়ে আমরা লক্ষ্য করছি যে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অসহিষ্ণুতা, বৈষম্য-বিভেদ ইত্যাদি আশংকজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ধরনের বিভেদ নিয়ে কখনোই টেকসই পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়। তাই এ বিষয়টিও এবারের অধিবেশনে আলোচনায় আসবে। আপনারা জানেন যে ২০০১ সালে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বর্ণবৈষম্য দূরীকরণের উপর ডারবান ঘোষণা শীর্ষক একটি ঘোষণা গ্রহণ করে। এই বছর সেই ঘোষনা গৃহীত হওয়ার ২০ বছর পূর্তি উদযাপন হতে যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ একটি উচ্চ পর্যায়ের সভা আয়োজন করছে। বর্ণ বৈষম্য ও জাতিগত বিভেদ ভুলে সমতার ভিত্তিতে টেকসই পুনরুদ্ধারের বিষয়টি এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রাধান্য পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
ষষ্ঠত: প্রতিবারের মত এবারো নিরস্ত্রিকরণ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আলোচিত হবে এবং সাধারণ পরিষদের সভাপতি ২৮ সেপ্টেম্বর তারিখে পারমাণবিক নিরস্ত্রিকরণে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ গ্রহণ ও এই বিষয়ে বৈশ্বিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্য পারমাণবিক অস্ত্রের সম্পূর্ণ নির্মূলের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সভা আয়োজন করছে।