আমন উৎপাদন নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

মিলান বার্তা ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:৩৪:১৩,অপরাহ্ন ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ | সংবাদটি ১৪৩ বার পঠিতফরিদপুরে চলতি আমন ধান আবাদ মৌসুমে সরকারি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ হয়েছে ৬ হাজার হেক্টর বেশি, কিন্তু হঠাৎ করে খুচরা বাজারে ইউরিয়া সারের দর বেড়ে যাওয়ায় কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন নিয়ে শঙ্কিত জেলার চাষীরা।
জেলার নয় উপজেলায় চাহিদার তুলনায় ইউরিয়া সারের সরবরাহ অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে খুচরা বাজারের এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
ফরিদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. হযরত আলী জানান, চলতি আমন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৬৪ হাজার ৬৫০ হেক্টর, কিন্তু সেখানে আবাদ হয়েছে ৭০ হাজার ২৯৪ হেক্টর।
তিনি বলেন, চারা রোপণের সময় সার কীটনাশকের দাম স্বাভাবিক ছিল, কিন্তু কয়েক দিন হলো হঠাৎ করেই খুচরা বাজারে ইউরিয়ার সারের দর কিছু বেড়েছে। তবে এই দর বেশি দিন থাকবে না বলে জানান এই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, আমন মৌসুমে আগস্ট মাসের ইউরিয়া সারের চাহিদা ছিল পাঁচ হাজার ২শ মেট্রিক টন এবং সেপ্টেম্বর মাসের চাহিদা চার হাজার ৫০২ মেট্রিক টন। এর বিপরীতে সরবরাহ হয়েছে পাঁচ হাজার ৭০২ মেট্রিক টন।
এদিকে, জেলার আমন চাষীরা জানিয়েছেন, আমরা খেত-খামার করি নিজের এবং দেশের উন্নয়নের জন্য, সেখানে যদি চাষাবাদের প্রয়োজনীয় উপকরণের দর বেড়ে যায় তাহলে উৎপাদন ব্যাহত হতে বাধ্য।
চাষীরা বলেন, ধানের উৎপাদন খরচ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি, তারপর যদি সারের দর বাড়ে তাহলে আমরা (চাষীরা) ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের ডোমরাকান্দি এলাকার চাষী নিজাম খলিফা জানান, আমার আমন ক্ষেতে চাহিদা রয়েছে ২৫ কেজি ইউরিয়া, সেখানে আমি কিনেছি ১০ কেজি।
তিনি বলেন, বাজারে সারের ঘাটতি রয়েছে। ফলে বর্তমান দরে কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা বেশি।
সারের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের ফরিদপুর শাখার সভাপতি আব্দুর সালাম বাবু বলেন, ডিলার পর্যায়ে সারের দর কমবেশি হয়নি, তবে খুচরা বাজারে কিছুটা দর বেড়েছে।
তিনি বলেন, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের জেলার ইউরিয়ার চাহিদা যা ছিলো সে তুলনায় সরবরাহ কম হয়েছে চার হাজার মেট্রিক টন। বর্তমান সময়ে হয়তো দামের কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে।