উন্নয়নের ছোঁয়া সৈয়দপুরে

মিলান বার্তা ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:১৮:২৭,অপরাহ্ন ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ | সংবাদটি ৭৯ বার পঠিতনির্বাচিত হওয়ার পর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রায় ৫ মাস। এই অল্প সময়েই নিজেকে আলাদাভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর মেয়র রাফিকা আক্তার জাহান বেবী। সৈয়দপুর পৌরসভার ইতিহাসে তিনি প্রথম নির্বাচিত নারী মেয়র। বেবী সৈয়দপুর পৌরসভার নতুন বাবুপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। তিনি গৃহিণী। তার স্বামী প্রয়াত আকতার হোসেন বাদল ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র।
সৈয়দপুর পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকতার হোসেন বাদল নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার এক সপ্তাহ আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী রাফিকা আকতার জাহান বেবীকে মনোনয়ন দেয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে জয়ী হয়েই উন্নয়ন পরিকল্পনা ও নানা ভোগান্তি থেকে সৈয়দপুরবাসীকে মুক্তি দিতে দিনরাত ছুটে চলেছেন তিনি। কাউন্সিলরদের নিয়ে তদারকি করছেন প্রতিটি ওয়ার্ডের উন্নয়ন কাজে। বিগত দিনের ময়লা আবর্জনার স্তূপ থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে পরিচ্ছন্ন ও ঝকঝকে এক নতুন শহর। ড্রেনেজ সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির উন্নয়ন, কিছুটা হলেও যানজট সমস্যার সমাধানের মধ্য দিয়ে তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটছে। প্রমাণ মিলেছে উন্নয়ন ও জনক্যলাণে তার আন্তরিকতার। এসব নিয়ে মেয়রের সঙ্গে কথা বলেছেন মো. জহুরুল ইসলাম খোকন।
গত ২৫ আগস্ট সকালে শহরের প্রাণকেন্দ্র ১নং রেল ঘুমটি এলাকায় দেখা হয় মেয়র রাফিকা আক্তার জাহান বেবীর সঙ্গে। ওই সময় সবে মাত্র পাড়া মহল্লা ও রাস্তাঘাটের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার কাজে তদারকি করে দাঁড়িয়েছেন। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বলেন, গত ২৮ জুন সৈয়দপুরের উন্নয়নের প্রায় ১৩১ কোটি টাকা বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।
বাজেটে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৯০ কোটি টাকা। সরকারের পক্ষ থেকে মোটা অঙ্কের বরাদ্দ না মিললেও পৌরসভার নিজ অর্থায়নে জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন কাজ অব্যহত রয়েছে। বিমানবন্দর যাওয়ার দৃষ্টিনন্দিত সড়কে আধুনিক লাইটিং ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বড় ধরনের বরাদ্দ মিললে সৈয়দপুর শহরের রাস্তাঘাট ভাঙা থাকবে না।
মেয়র রাফিকা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হলেন উন্নয়নের প্রতীক। অল্পদিনের মধ্যেই শতভাগ জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিবদ্ধকতার বেড়াজাল অতিক্রমের পাশাপাশি যানজট নিরসনে রাস্তাঘাট পরিকল্পিতভাবে প্রশ্বস্ত করতে কাজ চলছে। সৈয়দপুরবাসী আমাকে সম্মান দিয়েছেন। এ সম্মানের প্রতিদানস্বরূপ সৈয়দপুর শহরকে ঢেলে সাজাব।
মেয়রের স্বামী আকতার হোসেন বাদল ছিলেন সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি দীর্ঘদিন সৈয়দপুরে নেতৃত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ব্যাপক অবদান রেখেছেন। তার নেতৃত্বেই সৈয়দপুর এখন আওয়ামী লীগের দুর্গে পরিণত হয়েছে। তিনি জাতীয় সব আন্দোলন সংগ্রামে জননেত্রীর নির্দেশে স্থানীয় জনমানুষের ভাগ্য উন্নয়নে আজীবন চেষ্টা করে গেছেন। তার সুদূরপ্রসারী উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। যদিও আমি রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ছিলাম না। তবু আমার স্বামীর রাজনৈতিক দর্শন ও কার্যক্রম সম্পর্কে সর্বদা অবগত ও সচেতন ছিলাম। তাই তার কর্মকান্ডের আলোকে আমার মাঝেও রাজনীতি বিষয়ে সম্যক ধারণা রয়েছে এবং সবার সহযোগিতায় আগামীতে আরো সমৃদ্ধি ঘটবে।
রাফিকা বলেন, যতটুকু বিচক্ষণতা রয়েছে তার সঙ্গে নেতাদের দিকনির্দেশনা আর সুপরামর্শের ভিত্তিতে রাজনৈতিক অঙ্গনে সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারব বলেই আমি আশাবাদী। সেই পথচলার প্রথম ধাপ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশীর্বাদে আমি মেয়র হয়েছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস সৈয়দপুরবাসী আমার স্বামীর প্রতি যেমন ভরসা করতেন তারই আলোকে আমাকেও তাদের ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখবেন।