হাসপাতালে স্ত্রীর মরদেহ ফেলে পালালো স্বামী

মিলান বার্তা ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:২৭:২৮,অপরাহ্ন ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ | সংবাদটি ১৪১ বার পঠিতসিলেটে হাসপাতালে স্ত্রীর মরদেহ ফেলে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছেন। বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
রুমী বেগম নামের ওই গৃহবধূ সিলেটের মোগলাবাজার থানার দাউদপুর এলাকার তিরাশি গ্রামের খোকন মিয়ার স্ত্রী। এই দম্পতির এক বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
রুমির পরিবারের দাবি তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অন্যদিকে খোকনের পরিবারের দাবি- রুমী বেগম আত্মহত্যা করেছেন। আর পুলিশ বলছে- তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রুমী বেগমের পারবারিক সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে টাকার জন্য রুমী বেগমকে চাপ দেন খোকন। সংসারের নানা বিষয়, বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেয়াসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো।
বুধবার সকালে স্বামী খোকন রুমীকে মারপিট করেন। গুরুতর আহতাবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রুমী বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ফেলে চলে যান স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
রুমীর ভাই জুনেদ মিয়া বলেন, বিয়ের পর থেকেই খোকন বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য রুমীকে নির্যাতন করতেন। বুধবার সকালে রুমী তার মাকে ফোন করে বলেন, আমাকে বাড়িতে নিয়ে যাও। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।
ওইদিন বিকালে খোকন রুমীর মাকে ফোন করে বলেন, রুমী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তারা রুমীকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন। বিকাল সাড় ৫টার দিকে খোকন ও তার ভাই রুমীকে প্রথমে নর্থ-ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক রুমীকে ওসমানী হাসপাতালে রেফার করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে রুমিকে ওসমানী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা বলেন, খবর পেয়ে আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।