যুবলীগ নেতা আজাদ হত্যাচেষ্টা মামলায় ১২ আসামি কারাগারে

মিলান বার্তা ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:০১:৪৫,অপরাহ্ন ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ | সংবাদটি ১২০ বার পঠিতবরগুনার আমতলীতে চাঁদা না পেয়ে কুপিয়ে হাত-পা কেটে ক্ষত-বিক্ষত করার মামলায় আমতলী উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিসহ ১২ জন নেতা-কর্মীর জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার সকালে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (ভারপ্রাপ্ত) বিচারক মো. নাহিদ হাসান এ আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন-পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর জিএম মুছা ওরফে আবু মুছা, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জিএম ওসমানী হাসান, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন খান, উপজেলা ছাত্র লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মতিন খান, যুবলীগ নেতা তানজিল, মিরাজ মিয়া, আল ফাহাদ, রিয়াজ মুন্সী, রুবেল, আশিকুর রহমান আসলাম, কবির ও সবুজ। এরা প্রত্যেকেই আমতলী পৌরসভার বাসিন্দা। এ মামলায় আ. মালেক খান ও মো. হাচান মৃধা পলাতক ও অপর আসামি রায়হান জামিনে রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আমতলী পৌরসভার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মো. মতিয়ার রহমানের ভাগ্নে আবুল কালাম আজাদ একজন ঠিকাদার। চলতি বছরের ২১ মে রাত ৮ টার দিকে আবুল কালাম আজাদ উপজেলার খুরিয়ার খেয়াঘাট হতে নোমরহাট পাকা রাস্তার উপর পৌঁছালে আসামিরা তার কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দাবীকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে সকল আসামিরা রামদা-ছেনা দিয়ে আবুল কালাম আজাদের দুই পা, দুই হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করেন এবং হাত-পায়ের রগ কেঁটে ফেলেন। এ ঘটনায় ভিকটিম আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে আমতলী থানায় পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর জিএম মুছাসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও সেচ্ছাসেবক লীগের ১৫ জনকে আসামি করে অভিযোগ দেন। আসামিরা হাইকোর্ট থেকে দুই সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়ে আজ নিম্ন আদালতে হাজির হন।
ভিকটিম ও বাদীর মামা উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র মো. মতিয়ার রহমান বলেন, আমার ভাগিনাকে আসামিরা চাঁদার দাবীতে হত্যা করতে চেয়েছিল। আল্লাহ আজাদকে বাঁচিয়েছেন। আমার ভাগিনা চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছে। হাত পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।