ফাইজারের সাড়ে ৫২ হাজার টিকা পৌছালো সিলেটে
মিলান বার্তা ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৩২:৩২,অপরাহ্ন ০৮ অক্টোবর ২০২১ | সংবাদটি ১৬৮ বার পঠিত# প্রবাসী অগ্রাধিকার # রিসিডিউল জটিলতায় সিসিক
সিলেট বিভাগে ৫২ হাজার ৬শ’ ২৫ ডোজ ফাইজারের টিকা এসে পৌছেছে। বুধবার রাতে হবিগঞ্জ, সিলেট ও সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ে টিকা এসে পৌছায়। যার মধ্যে সিলেটে ১৯ হাজার ৮শ’ ৯০ ডোজ, সুনামগঞ্জে ১৬ হাজার ৩৮০ ডোজ ও হবিগঞ্জে ১৬ হাজার ৩৮০ ডোজ। সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। টিকা আসলেও কবে টিকা দেয়া হবে বা কাদের দেয়া হবে তা এখনও ঠিক করা হয়নি। নির্দেশনা আসলেই টিকা দেয়া শুরু হবে বলে জানান সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. হিমাংশু রাল রায়।
তবে সুনামঞ্জ ও হবিগঞ্জের সিভিল সার্জনরা বলছেন, আগামী রোববার/ সোমবার নাগাদ তারা সদর কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেয়া শুরু করবেন এবং ভ্যাকসিনে প্রবাসীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে এই ভ্যাকসিন দিতে হবে বলেও জানাযায়। তবে দোটানায় রয়েছে সিলেট জেলা। সিসিক বলছে ভ্যাকসিন দেয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন, সোম-মঙ্গলবার নাগাদ ভ্যাকসিন শুরু হবে, সিভিল সার্জন অফিস বলছে কেন্দ্র এখনো টিক হয়নি।
সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম সুমন জানান, ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। শুরুতে ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপে নিবন্ধিত অপেক্ষমান প্রায় ৮ হাজার প্রবাসিকে ভ্যাকসিন দেয়ার কথা ভাবছে সিসিক। এদিকে, ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করলেও নিবন্ধন রিসিডিউল জটিলতায় পড়েছে সিসিক। গত কয়েকমাসে সিলেটে প্রায় ১ লাখ টিকার মেসেজ দেয়া হয়। যার মধ্যে প্রায় ৭০ হাজারের মত সিনোফার্ম ও মর্ডানার ভ্যাকসিন নিয়েছে। বাকি ৩০ হাজারের মধ্যে অনেকে অপেক্ষায় আছেন ফাইজারের টিকার। সমস্যা হলো ভ্যাকসিন মেসেজ যেহেতু সিনোফার্মের গিয়েছে এখন তারা ফাইজারের টিকা নিলেও সনদে সিনোফার্মের আসবে। এটা সংশোধন বা রিসিডিউল করতে হবে সেন্টার (স্বাস্থ্য অধিপ্তর) থেকে। এনিয়ে আমরা একটু চিন্তিত। তাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে কথা বলে সম্ভাব্য একটা সমাধান খুঁজে ভ্যাকসিন দেয়ার চিন্তাভাবনা করছি। কতদিন সময় লাগতে পারে জানতে চাইলে ডা. জাহিদ বলেন, আশাকরছি আগামী সোমবার নাগাদ ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করতে পারবো। তবে ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে কোনো নির্দেশনা আসেনি।
এদিকে সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডল বলেন, গতকাল রাতে ফাইজারের টিকা আমরা রিসিভ করেছি। টিকা দেয়ার ব্যাপারে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। ফাইজারের টিকা অনেক সেনসিটিভ। নির্ধারিত তাপমাত্রার রাখতে হয়, টিকা দিতে হয়। এসব অনেক বিষয় রয়েছে। সিলেটের কেন্দ্র এখনো ঠিক হয়নি, টিকা হাসপাতাল সেটআপে দিতে হবে। সেটা ওসমানী হউক বা শামসুদ্দিন হাসপাতালে হউক। এনিয়ে সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মিটিং করে নির্দেশনা দিবেন।
সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মোহমম্মদ শামসুদ্দিন বলেন, গতকাল রাতে সুনামগঞ্জে ১৬ হাজার ৩৮০ ডোজ ভ্যাকসিন এসে পৌছেছে। আশা করছি রোববার বা সোমবার নাগাদ শুরু হবে। সুনামগঞ্জের সদর কেন্দ্রে যেসব বিদেশযাত্রী নিবন্ধন করেছেন তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। তবে এব্যাপারে আমরা এখানো কোনো নির্দেশনা পাইনি।
হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চাহিদা ছিলো ৬ হাজার সেন্টার থেকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে ১৬ হাজার ৩৮০ ডোজ। যেহেতু ৩১ তারিখের মধ্যে এই ভ্যাকসিন দিতে হবে। তাই প্রবাসী ছাড়াও যারা আগ্রহী তাদের কেউ টিকা দেয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, ফাইজারের টিকা এসে পৌছেছে। তবে কবে কখন বা কাদের টিকা দেয়া হবে এবিষয়ে কোনো নির্দেশনা আসেনি তাই এখনি কিছু বলতে পারছি না।