বড়লেখার ৫ ইউপিতে বিজয়ে ‘ফ্যাক্টর’ হতে পারে বিএনপি-জামায়াত ভোট
মিলান বার্তা ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:১৬:২৫,অপরাহ্ন ২৬ নভেম্বর ২০২১ | সংবাদটি ২০৫ বার পঠিতবড়লেখার ১০ ইউনিয়নের ৫টিতেই নেই বিএনপির কোনো চেয়ারম্যান প্রার্থী। এসব ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের বিজয় ছিনিয়ে আনতে ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারে বিএনপি ও জামায়াতের ভোট। ‘নৌকা’ ও ‘নৌকা’র বিদ্রোহী প্রার্থী উভয়েই বিএনপি ও জামায়াতপন্থী ভোটারের মন জয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী থাকা ইউনিয়নে যে প্রার্থী যত বেশি বিএনপি জামায়াতের ভোট আয়ত্বে নিতে পারবেন তিনিই বিজয় মালা পরবেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
জানা গেছে, উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নে ‘নৌকা’র প্রার্থী বিদ্যুৎ কান্তি দাসের বিরুদ্ধে ইউপি আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান ও সদস্য সুনাম উদ্দিন সুনাইবন্ধু নির্বাচন করছেন। ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে এ ইউনিয়নে ‘নৌকা’ প্রতীক নিয়ে ৫১৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন বিদ্যুৎ কান্তি দাস। ধানের শীষের বিএনপি প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পেয়েছিলেন ৩৪৩৬ ভোট। এবার তিনি মনোনয়ন জমা দিলেও শেষ পর্যন্ত প্রত্যাহার করেন। তার ভোটে যে প্রার্থী বেশি ভাগ বসাতে পারবেন তিনিই জয়ের মালা পরবেন বলেই সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন। দাসেরবাজার ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী কমর উদ্দিন ৪৫৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। দলীয় সিদ্দান্তে তিনি এবার নির্বাচন করছেন না। তার এ ‘ভোটব্যাংক’ ফ্যাক্টর হতে পারে আ’লীগ বিদ্রোহী মাহতাব উদ্দিন মাতাই, স্বপন কুমার চক্রবর্তী কিংবা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জিয়াউর রহমানের জন্য। বড়লেখা সদর ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম মামুন পান ৩০৯১ ভোট। এবার সদর ইউনিয়নে নেই বিএনপির কোনো চেয়ারম্যান প্রার্থী। ‘নৌকা’ প্রার্থী সালেহ আহমদ জুয়েলের বিরুদ্ধে আ’লীগ বিদ্রোহী সিরাজ উদ্দিন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। বিএনপি ও জামায়াতের ভোট যেদিকে টার্ণ করবে সেদিকেই রেজাল্ট হতে পারে বলে অনেকে ধারণা করছেন। উত্তর শাহবাজপুর ও দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউপিতেও রয়েছে বিএনপি ও জামায়াতের নির্দিষ্ট একটি ভোট ব্যাংক। আ’লীগ ও আ’লীগ বিদ্রোহী প্রার্থীর বিজয়ে আর্শীবাদ হতে পারে এসব ভোট।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের অন্যতম এক নেতা বলেন, বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত ভোটাররা আদর্শিক কারণে কখনও ‘নৌকা’য় ভোট দিতে পারে না। ‘নৌকা’ না পাওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা ভিন্ন প্রতীকে নির্বাচন করায় বিএনপি-জামায়াত সমর্থিতদের ভোট দেওয়ার সুযোগ হয়েছে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহীদের বাক্সেই ঢুকবে বিএনপি-জামায়াতের ভোটগুলো।