কানাইঘাটে ২ বাবুর্চির রহস্যজনক মৃত্যু
মিলান বার্তা ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:২৮:০৭,অপরাহ্ন ০২ ডিসেম্বর ২০২১ | সংবাদটি ২১০ বার পঠিতসিলেটের কানাইঘাটের একটি কমিউনিটি সেন্টার থেকে রহস্যজনকভাবে নিহত মহিলা বাবুর্চিসহ দু’জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সাথে গুরুতর অবস্থায় উপজেলার ব্রাহ্মণগ্রামের নাজিম উদ্দিন নামে আরো এক বাবুর্চিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গাছবাড়ী বাজার আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, উপজেলার নয়াগ্রামের মৃত রহমত উল্লাহ’র ছেলে বার্বুচি সুহেল আহমদ (২৮) ও ওসমানীনগর উপজেলার তাহিরপুর গ্রামের মৃত আক্কাছ আলীর মেয়ে সালমা বেগম (৪০)। বুধবার সকাল ৭টার দিকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য নিহত লাশ কানাইঘাট থানায় পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কানাইঘাট সার্কেলের এএসপি আব্দুল করিম, কানাইঘাট থানার ওসি (তদন্ত) জাহিদুল হক।
নিহত সুহেল আহমদের আত্মীয়-স্বজনসহ স্থানীয়রা জানান, গত মঙ্গলবার রাতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের রান্না করার জন্য আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারে যান সুহেল আহমদ, সালমা বেগম ও নাজিম উদ্দিন। রাতে তারা কমিউনিটি সেন্টারের ২য় তলার একটি কক্ষে শুয়ে পড়েন। পরদিন বুধবার সকাল ৭টার দিকে ঘুম থেকে তারা না উঠলে বিয়ের আয়োজনকারী জসিম উদ্দিন তাদের ডাকতে রুমে যান। ডাকাডাকির পরও তারা ঘুম থেকে না উঠলে একপর্যায়ে কক্ষের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে জসিম উদ্দিনসহ কয়েকজন দেখতে পান বার্বুচি সুহেল আহমদ, নাজমা বেগম ও নাজিম এলোমেলো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ছোট কক্ষের ভিতরে মশার কয়েলের ধুয়ায় আচ্ছন্ন রয়েছে। একপর্যায়ে এ তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুহেল ও সালমা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় নাজিম উদ্দিনকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। তাদের স্বজনরা জানিয়েছেন তাদেরকে মুখে বিষ ঢেলে হত্যা করা হতে পারে। পুলিশের ধারণা ছোট একটি রুমে তিন জন লাকড়ী ও মশার কয়েল জালিয়ে শুয়ে থাকার কারণে ধুয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে অক্সিজেনের অভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত কারণে ঘুমের মধ্যে মারা যেতে পারেন।
ওসি (তদন্ত) জাহিদুল হক জানান, মঙ্গলবার রাতে বিয়ের সেন্টারে রান্না করার পর সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। বুধবার (১ ডিসেম্বর) সকালে রান্না ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় ভেতর থেকে কোন সাড়াশব্দ না পাওয়ায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এরপর তাদের লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। কি কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।