এসব ঘটনায় আমি খুব মর্মাহত
মিলান বার্তা ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:৪২:২২,অপরাহ্ন ১৩ ডিসেম্বর ২০২১ | সংবাদটি ২৮৩ বার পঠিতআমি সুইডেনে বিদেশি। আমার জন্মস্থান বাংলাদেশে সত্বেও আমার চাকরি পেতে সমস্যা হয়নি, সে বহু যুগ আগের কথা। যদি ভূমি বা বাসস্থানহীন বাংলাদেশি এখনও থেকে থাকে, তারা যদি জীবন বাঁচাতে এক শহর ছেড়ে অন্য শহরে আশ্রিত হয় এবং বহু বছর ধরে সেখানে বসবাস, শিক্ষা, কর্মে লিপ্ত থেকে থাকে এবং টাক্স পে করে তাহলে সেটাই তাদের ঠিকানা হওয়ার কথা।
এখন যে কোটা সিস্টেম দেশে চালু করা হয়েছে যেমন এক জেলার বাসিন্দা অন্য জেলায় চাকরি পাবে না সেটা ঠিক রেখেও কিন্তু ভূমিহীন নাগরিকের জীবনের নিশ্চয়তা দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিছু যায় আসে না যদি তার সেই জেলায় নিজস্ব ভিটেবাড়ি না থাকে। এখন আসুন এবার আসপিয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করি।
২০২০ সালে আসপিয়া বরিশালের সরকারি হিজলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। উপজেলার খুন্না-গোবিন্দপুর গ্রামের এক ব্যক্তির জমিতে আশ্রিত হিসেবে বসবাস করেন তারা। নদীভাঙনের কবলে পড়ে ১৫ বছর আগে আসপিয়ার বাবা সফিকুল ইসলাম পরিবার নিয়ে ভোলা থেকে হিজলায় আসেন।
জমি না থাকায় চাকরি হবে না, চাকরি না হওয়ার কারণ জানার জন্য ডিআইজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আসপিয়া। ডিআইজি তাকে জানান পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের বিধি অনুযায়ী, প্রার্থীকে অবশ্যই নিজ জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। কিন্তু তার হিজলায় নিজস্ব কোনো জমি নেই। তাই আইন অনুযায়ী তাকে নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ নেই।
বিষয়টি আমি জেনেছি। আমি এটাও জেনেছি খুলনা পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে সাধারণ নারী কোটায় মেধা তালিকায় শীর্ষে থেকেও জেলায় জমি না থাকায় পুলিশে চাকরি পাচ্ছেন না মীম আক্তার।
এসব ঘটনা আমাকে খুব মর্মাহত করেছে। পরীক্ষায় সবগুলো ধাপ উতরে গিয়েও ভূমিহীন হওয়ার কারণে মেয়ে দুটির চাকরি হবে না, এটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন করে হলেও মেয়ে দুটিকে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলাম।