সিলেটে বিএনপির সমাবেশে তুলকালাম কান্ড

বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের অংশ হিসেবে সিলেটে বিএনপির সমাবেশ শুরুর আগেই রেজিস্টারি মাঠে তুলকালাম কান্ড ঘটেছে। অনুষ্ঠানস্থল ও এর বাইরে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক চেয়ার-ছোড়াছুড়ি, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে বিএনপি সিলেট বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রধান অতিথি ছিলেন।
শনিবার নির্ধারিত সময়ের আগেই রেজিস্টারি মাঠে সমাবেশমঞ্চ প্রস্তুত ছিল। মঞ্চের পাশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্যও মঞ্চ ছিল। মঞ্চে বিএনপির স্থানীয় নেতারা একে একে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। কিছু সময় পরপর ছাত্রদল, যুবদলের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যোগ দিচ্ছিলেন। সমাবেশস্থলের দর্শকসারি থেকে কিছু সময় পরপর বিএনপির বিভিন্ন নেতার নামে স্লোগান দিচ্ছিলেন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ সময় মঞ্চ থেকে ব্যক্তির নামে স্লোগান না দিতে অনুরোধ করছিলেন সমাবেশের সভাপতি সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির। হঠাৎ দর্শকসারির পেছন এবং সামনের অংশের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা দেয় উত্তেজনা। শুরু হয় বিরামহীন চেয়ার-ছোড়াছুড়ি, হাতাহাতি, ও ভাংচুর। এসময় সমাবেশস্থল ও এর বাইরে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থল থেকে চলে যান রাস্তায়। এসময় সাধারণ মানুষের মাঝেও আতংক দেখা দেয়। তখনো বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমাবেশস্থলে যোগ দেননি। এ সময় মঞ্চ থেকে আরিফুল হক চৌধুরী ও খন্দকার আবদুল মুক্তাদির নেতা-কর্মীদের শান্ত থাকতে বলেন। তাঁরা সংঘর্ষের মূলে ‘সরকারি এজেন্টরা জড়িত’ বলে অভিযোগ করেন। তাঁরা বলেন, সমাবেশস্থলে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। সংগঠনের কেউ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলে বহিষ্কার করা হবে। বেলা ২টা ৫০ মিনিটের দিকে সংঘর্ষ থেমে যায়। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত হন প্রধান অতিথি মির্জা ফখরুল ইসলাম। পরে বেলা তিনটায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়।