‘লকডাউন’ আতঙ্কে কমলাপুরে চাপ, মাস্কে কড়াকড়ি

মিলান বার্তা ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৩৬:২৩,অপরাহ্ন ১৩ জানুয়ারি ২০২২ | সংবাদটি ১৮০ বার পঠিতমাস্ক পরিধান ছাড়া রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছেন না রেলওয়ে কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা রক্ষীরা। ভেতরে কেউ মাস্ক ছাড়া আছে কি না, তাও তদারকি করা হচ্ছে।
এদিকে বিধিনিষেধের খবরে অনেকেই আতঙ্কিত। লকডাউন হতে পারে—এই ভয়ে কেউ কেউ পরিবার-পরিজনকে পাঠিয়ে দিচ্ছেন গ্রামের বাড়িতে। ফলে, ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষের প্রচণ্ড চাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে কমলাপুর স্টেশনে।
কমলাপুর স্টেশনে দেখা যায়, আন্তঃনগর ট্রেনে সিট ছাড়া টিকিট বিক্রি হচ্ছে না। কোনো স্ট্যান্ড (দাঁড়ানো) টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না। কমলাপুর স্টেশনে প্রবেশের প্রধান ফটকে টিকিট দেখানোর পর প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছেন কর্মকর্তারা। আবার যাত্রা শেষে বের হওয়ার পথেও চেক করা হচ্ছে তিনি টিকিট কেটে ভ্রমণ করলেন কিনা। করোনায় ট্রেনে সিট ছাড়া ভ্রমণের নিয়ম না থাকায় আন্তঃনগর কিংবা কমিউটার—কোনো ট্রেনেই সিট ছাড়া উঠছেন না যাত্রীরা।
করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকায় সশরীরে ক্লাস স্থগিত করেছে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। যাত্রীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ছাত্রছাত্রী। তবে ঢাকা ছাড়ার যাত্রায় ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। মানুষের এত চাপের কারণে ঠিকমতো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করাতে বেগ পেতে হচ্ছে রেল সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।
লকডাউন ঘোষণা হয়ে যাবে সে ভয়ে অনেকেই নিজ পরিবারকে পাঠিয়ে দিচ্ছেন গ্রামের বাড়িতে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এক ব্যক্তি তার পরিবারকে পাঠিয়ে দিচ্ছেন গ্রামের বাড়িতে। মেয়ে এবং ছেলে দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী। দুজনের ক্যাম্পাসেই সশরীরে ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অনলাইন ক্লাসের সুযোগে গ্রামের বাড়ি চলে যাচ্ছেন। এর আগের লকডাউনে বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠানো হয় তাকে।