যারা আইন শৃঙ্খলা পছন্দ করে না তারাই র্যাবের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে –পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মিলান বার্তা ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৩২:৩৯,অপরাহ্ন ২২ জানুয়ারি ২০২২ | সংবাদটি ৭২০ বার পঠিতপররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এম আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমাদের র্যাব বাহিনী কাজে কর্মে অত্যন্ত দক্ষ। তারা খুব ইফেক্টিভ, ভ্যারি ইফেশিয়ান্ট এবং তারা করাপ্ট নয়। এজন্যই তারা জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। আমাদের দেশের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড তাদের কারণেই কমে গেছে। গত কয়েক বছরে হলিআর্টিজানের পর আর কোনো সন্ত্রাসী তৎপরতা হয়নি। এটা সম্ভব হয়েছে র্যাবের কারণে। স্বয়ং ইউএস স্ট্যাট ডিপার্টেমেন্ট সেটা স্বীকার করেছে। কিছু লোক যারা আইন শৃঙ্খলা পছন্দ করে না, যারা সন্ত্রাস পছন্দ করে কিংবা অন্য ধরনের ড্রাগ পছন্দ করে তারাই র্যাবকে পছন্দ করে না। কারণ র্যাব তাদের বিরুদ্ধে কাজ করে। এটা খুবই দুঃখজনক।
শুক্রবার বিকালে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার নগদিপুর গ্রামের ৪টি স্কুল পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের উদ্দেশ্য এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের জানাবো, হয়তো ঠিক মতো তাদের জানাতে পারিনি। কারণ অনেকেই একতরফা তথ্য পেয়েছে। যারা ওদেরকে পছন্দ করে না। সব দেশেই ল’ এন্ড ফোর্স এজেন্সিতে কিছু মৃত্যু হয়। বাংলাদেশেরও কিছু হয়েছে। আগে বেশি ছিলো এখন খুব কম হয়েছে। যখনই একটা মৃত্যু হয় তখন জুডিশিয়াল প্রসেজে সেটির তদন্ত হয়। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুটি ক্ষেত্রে র্যাব অন্যায় করেছিলো সেগুলোর জুডিশিয়াল প্রসেজে বিচার হয়েছে। ওদের শাস্তিও হয়েছে। আর এই র্যাব তৈরি করেছে আমেরিকান ও বৃটিশরা। ইউএসএ তাদের শিখিয়েছে তাদের রুলস এন্ড এংগেজমেন্ট। কিভাবে মানুষের সাথে ব্যবহার করতে হবে, হাউ টু ইন্টারগেশন। এগুলো সব কিছু শিখিয়েছে আমেরিকা। তাদের যদি রুলস অব অ্যাংগেজমেন্টে কোনো কিছু দুর্বলতা থাকে, কোনো উইকনেস থাকে, এই রুলস অব অ্যাংগেজমেন্টে যদি কোনো হিউম্যান রাইট ভায়ালেট হয়, অবশ্যই আমরা সেখানে নতুন করে চিন্তা করবো। কিন্তু কোনো ব্যক্তি বিশেষের উপর হঠাৎ করে এই যে সেংশনগুলো দেয়া হয়েছে সেটা কিন্তু খুব জাস্টিফাইড না।
ওরা বলেছে যে গত ১০ বছরে ছয়শত জন মিসিং হয়েছে। আমেরিকাতে প্রতিবছর একলক্ষ মিসিং হয়। তো এর দায়দায়িত্ব কে নেবে? আর আমাদের দেশে মিসিং যারা হয় পরবর্তীতে দেখা যায় আবার বের হয়ে আসছে। আর এসব তথ্য যাচাই বাচাই না করে বড় বড় বিদেশী লোক না জেনে অভিযোগ করে। যারা অভিযোগ করেছে আমি তাদের আহবান করি। বলি আসেন, দেখেন, লোকজনের সাথে কথা বলেন, সঠিক ঘটনা উদঘাটন করেন। তারপর আপনারা সিদ্ধান্ত নেবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের সহধর্মিনী, যুক্তরাজ্যের ব্যবসা, পর্যটন ও বন্দরমন্ত্রী ভিজয় দারিয়ানানি, যুক্তরাজ্যের এমপি টম হান্ট, যুক্তরাজ্য প্রবাসী জেডআই ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জিল্লুর হোসাইন, সুনামগঞ্জ সিলেট সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানম, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন প্রমুখ।