হবিগঞ্জে হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি

মিলান বার্তা ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৫৮:৪৬,অপরাহ্ন ২৫ জানুয়ারি ২০২২ | সংবাদটি ৫৮৮ বার পঠিতহবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকালে নবজাতকদের বিশেষ সেবা ইউনিট থেকে এ চুরির ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সোমবার সন্তান জন্ম দিতে সদর আধুনিক হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি হন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার মড়রা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী ফেরদাউস আক্তার। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টায় স্বাভাবিকভাবেই পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। এরপর শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নবজাতকদের বিশেষ সেবা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পরিষ্কার করার কথা বলে ওই ইউনিটে থাকা নবজাতকের সব স্বজনদের বের করে দেন দায়িত্বরতরা। কিছুক্ষণ পর স্বজনরা সেখানে প্রবেশ করে দেখতে পান তোয়ালে পড়ে রয়েছে। কিন্তু নবজাতক নেই। এ সময় তারা চিৎকার শুরু করলে দায়িত্বরতরা স্বজনদের জানায় নবজাতকের বাবা দুধ খাওয়ানোর কথা বলে শিশুটিকে নিয়ে গেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে তোলপাড় শুরু হয়।
সদর হাসপাতলের তত্ত্ববাবধায়ক ডা. আমিনুল হক সরকার জানান, নবজাতক চুরির ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। বিয়ষটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
সদর মডেল থানার এসআই মো. ইয়াকুব আলী জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এদিকে, এ খবর পেয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি টিম সাথে সাথে হাসপাতালে পৌঁছে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
চুরি হওয়া নবজাতকের নানি সফিনা তুন ও ফুফু সামছুন্নাহার জানান, ভোর সাড়ে ৬টায় স্বাভাবিকভাবে ডেলিভারির মাধ্যমে নবজাতকটি জন্ম নেয়। এরপর বাচ্চাটির কান্না থামছিল না। এক পর্যায়ে বিশেষ সেবা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে কিছু ওষুধ নিয়ে আসতে বলা হয়। ওষুধ নিয়ে যাওয়ার পর ঝাড়ু দেয়ার কথা বলে তাদের বের করে দেন দায়িত্বরতরা। পরে ভেতরে ঢুকে শিশুটিকে আর পাইনি। বাবা এসে দুধ খাওয়ানোর কথা বলে নিয়ে গেছে। অথচ এ সময় তার বাবা হাসপাতালে আসেনি।
নবজাতকের বাবা দেলোয়ার হোসেন জানান, তিনি বাড়িতে ছিলেন। ছেলে সন্তানের খবর পেয়ে সকালে হাসপাতালে এসে জানতে পারি সন্তান চুরি হয়েছে। তিনি সন্তান ফেরত চেয়ে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।