চুনারুঘাটে শালিকাকে খুন করে দুলাভাই

মিলান বার্তা ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:০৪:২৯,অপরাহ্ন ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ | সংবাদটি ২৫২ বার পঠিতস্ত্রী প্রবাসে থাকার সুবাদে শালিকার সাথে গড়ে উঠে পরকীয়া প্রেম। এতেও ক্ষান্ত হননি দুলাভাই সোহাগ মিয়া (৩০)। এক পর্যায়ে ভাগনির (স্ত্রীর বড় বোনের মেয়ে) সাথেও অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলেন। বিষয়টি শালিকা জেনে গেলে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শালিকাকে খুন করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন সোহাগ। তবে শেষ রক্ষা হয়নি, শ্বশুরের হত্যা মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে ১৬৪ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় ঘাতক সোহাগ। সে হবিগঞ্জ শহরের যশেরআব্দা গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে।
জবানবন্দীতে সোহাগ আদালতকে জানিয়েছে, ১০ বছর আগে চুনারুঘাট উপজেলার শেখেরগাঁও গ্রামের আব্দুর ছাতিরের মেয়ে ছিতারাকে বিয়ে করে সোহাগ। বিয়ের পর সোহাগ তার শশুর বাড়িতেই বসবাস করে আসছিল। দাম্পত্য জীবনে তিন বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে তার। বছরখানেক আগে জীবিকার তাগিদে স্ত্রী ছিতারা সৌদি আরব চলে যান। এ সময় সোহাগের অবুঝ শিশুকে দেখাশোনা করতেন শালিকা জুনেরা খাতুন (১৯)। সেই সুবাদে শালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে সোহাগের। সম্পর্কে কারণে জুনেরার একাধিক বিয়েও ভেঙে দেন সোহাগ।
এদিকে, সোহাগের স্ত্রীর বড় বোনকে বিয়ে দেয়া হয় পাশের জিকুরা গ্রামে। তার ১৬ বছর বয়সী মেয়ে প্রতিদিন নানার বাড়িতে অসুস্থ নানীর কাছে ঘুমাতে আসে। সেই সুবাদে তার সাথেও অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলেন সোহাগ। বিষয়টি বুঝতে পারে শালিকা জুনেরা। এ নিয়ে সোহাগ ও জুনেরার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জুনেরা সবকিছু ফাঁস করে দেয়ার হুমকি দিলে গত মঙ্গলবার রাতে সোহাগ শালিকার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে। পরে এই হত্যাকান্ডকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন এবং তড়িঘরি লাশ দাফনের চেষ্টা করে। কিন্তু বিষয়টি বুঝতে পারেন সোহাগের শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তারা চুনারুঘাট থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে সোহাগকে একমাত্র আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন শ্বশুর আব্দুল ছাতির। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোহাগকে আটক করে। এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত চম্পক ধাম বলেন, সোহাগ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া নিহত জুনেরার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।